আজব এই পৃথিবী। প্রতিনিয়তই আজব কিছু না কিছু হচ্ছে আমাদের এই পৃথিবীতে। এমনই আজব কিছু তথ্য আজ আমরা জেনে নিব।
* অদ্ভুত হলেও সত্য, হাতির বাচ্চা দিনে প্রায় ৮০ লিটার পর্যন্ত দুধ খেতে পারে।
* অনেকে হয়তো জানেন না, পানি ছাড়া একটি ইঁদুর একটি উট থেকে বেশি সময় বাঁচতে পারে।
* আমরা সারাদিন নানা পিঁপড়া দেখি। কিন্তু আমরা এটি কি জানি যে পিঁপড়া কখনো ঘুমায় না?
* আমরা সবাই জানি, মৌমাছি মধু তৈরি করে। কিন্তু জানেন কি! প্রায় ২০ হাজার প্রজাতির মৌমাছির মধ্যে মাত্র চার প্রজাতির মৌমাছি মধু তৈরি করতে পারে। বাকিরা পারে না।
* ঘুঘু পাখি ও পিঁপড়ার কাহিনী আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটা কি জানি, পিঁপড়া পানির নিচে দুই দিনও বেঁচে থাকতে পারে।
* বিড়াল আমাদের অতি পরিচিত একটি প্রাণী। অন্ধকারে আমরা তেমন কিছু না দেখলেও একটা বিড়াল অন্ধকারে মানুষ থেকে প্রায় ছয়গুণ ভালো দেখতে পারে। টাপেটাম লুসিডামের জন্য এটি পারে বিড়াল। এটি একটি বাড়তি লেয়ার যা আলো ধারণ করে রাখতে পারে।
* বিড়ালের কান দেখতে বেশ সুন্দর। কিন্তু জানেন কি, একটি বিড়ালের প্রতিটি কানে ৩২টি করে পেশি থাকে!
* আপনার নাকের দৈর্ঘ্য ও বুড়ো আঙুলের দৈর্ঘ্য মিলে গেছে? যদি মিলে যায় তবে আপনি স্বাভাবিক। আর যদি না মেলে তবে আর কী করা? এমন ব্যতিক্রম খুব কমই হয়।
* খুব জোরে হাঁচি দিলে পাঁজরের হাড়ে চিড় ধরতে পারে। আবার চেপে রাখলে মাথা বা ঘাড়ের শিরা ছিঁড়ে যেতে পারে। সামান্য হাঁচির কী জোর রে বাবা!
ও, আরেকটি কথা। আপনি কিন্তু চোখ খোলা রেখে হাঁচি দিতে পারবেন না।
* ফুটবল খেলার সময় একেকজন খেলোয়াড় কতখানি দৌড়ায় জানেন? নব্বই মিনিটের প্রতি খেলায় সাধারণত ৭ মাইল।
* প্রজাপতির চোখের সংখ্যা ১২ হাজার!
* যখন আমরা কোনো কিছু স্পর্শ করি, তখন ঘণ্টায় ১২৪ মাইল বেগে তথ্যটা মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
* ডান পাশের ফুসফুস বাম পাশের চেয়ে বেশি বাতাস গ্রহণ করে।
* শরীরের পেছন দিক দিয়েও নিঃশ্বাস নিতে পারে কচ্ছপ।
* কচ্ছপের কিন্তু দাঁত নেই।
* রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হচ্ছে সবচেয়ে বড় জাতের বিড়াল। এরা পানি পছন্দ করে। পানিতে শিকারও করতে পারে।
* শিম্পাঞ্জিরাও মানুষের মতো হ্যান্ডশেক করে!
* বিল গেটসের বাড়ির ডিজাইন করা হয়েছে ম্যাকিনটস কম্পিউটার ব্যবহার করে।
* পোকাখেকো বাজপাখির দৃষ্টিশক্তি খুবই প্রখর। আধামাইল দূর থেকেও একটা ফড়িংকে ঠিক ঠিক শনাক্ত করতে পারে।
* প্রাচীনকালে রোমান সৈন্যরা এক ধরনের বিশেষ পোশাক পরত, এখন মেয়েদের কাছে ওই বিশেষ পোশাকটাই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। পোশাকটার নাম স্কার্ট।
* একটা বোয়িং ৪৭৪-৪০০ বিমানে ৬০ লাখ যন্ত্রাংশ আছে।
* বাঁ পাশের ফুসফুস ডান পাশেরটির চেয়ে ছোট। কারণ ওই জায়গাটায় আছে হৃদয়।
* বড় আকারের ক্যাঙ্গারু এক লাফে পেরোতে পারে ৩০ ফুট। অলিম্পিকে ওদের সুযোগ দেওয়া উচিত্ ছিল।
* থাইল্যান্ডে ঘুড়ি ওড়ানো এক ধরনের পেশাদার খেলা।
* নীল রঙ দেখলে আমাদের প্রশান্তি লাগে। এর কারণ আমরা যখন নীল রং দেখি তখন আমাদের মস্তিষ্ক এক ধরানের প্রশান্তির রস ছাড়ে, যা আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে যায়।
* ফুটবল খেলায় গোলরক্ষক গোল রক্ষা করেন। কিন্তু ক্রিকেট খেলায় উইকেটরক্ষক উইকেট রক্ষা করে না, বরং ভেঙ্গে ফেলে। বিশ্বাসঘাতক উইকেটরক্ষক!
* আয়নার সামনে গিয়ে জিহ্বা বের করে দেখুন। জিহ্বার রঙ যদি গোলাপি হয় তাহলে বুঝা যাবে জিহ্বায় কোনো জীবাণু নেই। আর যদি সাদা হয়, তাহলে ব্যাকটেরিয়া জমেছে।
* বিষুবরেখায় যে কোনো জিনিসের ওজন শতকরা এক ভাগ কমে যায়।
* পাখি জগতে প্যাঁচাই কেবল চোখের উপরের পাতা পিটপিট করে। বাকি সব পাখি পিটপিট করে চোখের নিচের পাতা।
* মধু খুব দ্রুত হজম হয়। কারণ আগেই একবার মৌমাছিরা হজম করে রাখে।
* বিপদে পড়লে এসওএস(SOS)(আপদকালীন) সিগন্যাল পাঠানোর নিয়ম আছে। এসওএস ব্যবহারকারী প্রথম জাহাজ হচ্ছে টাইটানিক।
* “বোলা” স্পাইডার নামের এক ধরনের মাকড়সা আছে, যারা জাল বোনে না। এদের দেখা মেলে আমেরিকা, আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ায়।
* আমরা তো খাবার খেয়েই ভাবি কাজ শেষ। এ খাবার পুরোপুরি হজম করতে পেটের কতক্ষণ সময় লাগে জানেন? প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।
* টাইটানিক জাহাজ বানাতে খরচ হয়েছিল সাত মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৫২ কোটি টাকা। আর দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘টাইটানিক’ সিনেমা বানাতে খরচ হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলার, মানে ১৫০০ কোটি টাকারও বেশি।
* নীল চোখের মানুষ অন্ধকারে ভালো দেখতে পায়।
* প্রত্যেক মহাদেশেই রোম নামের শহর আছে, কেবল অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া।
* আমরা যাদের কালো ভালুক বলে চিনি, এরা কিন্তু মোটেও কালো নয়। এদের রং বাদামি, হলুদ, দারুচিনি এবং কখনো কখনো সাদা।
* আজব নামের একজন টিজে আছেন টিউনারপেজে। যিনি এখন পর্যন্ত এখানে ১০টি পোস্ট করেছেন।
* চার হাঁটুওয়ালা একমাত্র জন্তু হাতি।জীবনের অন্তত দুই সপ্তাহ সময় ট্রাফিক সিগন্যালের লাল বাতিতে কাটায় একজন মানুষ। আর ঢাকার বিখ্যাত জ্যামে পড়লে তো অন্য হিসাব।
* আঙুলের মতো একজন মানুষের ঠোঁটের ছাপও অন্য মানুষের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।
* মিকি মাউস নামের কার্টুনের ইঁদুরটাকে চিনেন তো? মিকি মাউসের স্রষ্টা ওয়াল্ট ডিজনি। মজার বিষয় হলো, ডিজনি সাহেব নিজেই ইঁদুরকে মারাত্মক ভয় পেতেন।
* আমেরিকার ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা এতই বিষাক্ত যে এক কামড়ে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
* প্রতি এক হাজার সামুদ্রিক কচ্ছপ ছানার মধ্যে মাত্র একটি ছানা জন্মের পর টিকে থাকতে পারে।
* কুমির চিবোতে পারে না।
* আমাদের মস্তিষ্কে আছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নার্ভ সেল। সবচেয়ে ক্ষমতাশালী কম্পিউটারের চেয়েও বেশ জটিল আমাদের একেকটি নার্ভ সেল।
* উটপাখি দৌড়াতে পারে ঘণ্টায় ৪৩ মাইল বা ৭০ কিলোমিটার বেগে। এ পাখি উড়তে পারেনা।
* ধরা যাক একটা সিংহ এবং ভালুকের মধ্যে লড়াই হলো। কে জিতবে ভাবো তো একবার? বনের রাজা হলেও ওই লড়াইয়ে কিন্তু ভালুকই জিতবে।
* বিড়ালের প্রতিটি কানে আছে ৩২টি করে পেশি।
* সুস্থ দেহে রক্তের গতিবেগ ঘণ্টায় সাত মাইল।
* চোখের একটা পলক ফেলতে কত সময় লাগে জানো? শূন্য দশমিক চার সেকেন্ড।
* নাকই হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিগত শীতাতপ নিয়ন্ত্রকযন্ত্র। কারণ এটা শীতল বাতাসকে গরম করে, আবার গরম বাতাসকে শীতল করে এবং ময়লা-আবর্জনা ছাঁকুনি দিয়ে বিশুদ্ধ বাতাস টেনে নেয়।
* আমাদের শরীরে পেশী আছে ৬০০ টিরও বেশি।
* শিশু অবস্থায় কতখানি পথ হামা দিয়েছেন জানেন? প্রায় দেড় শ কিলোমিটার পথের সমান।
* একজন মানুষ কোনো খাবার না খেয়ে বাঁচতে পারে এক মাস, কিন্তু পানি পান না করলে এক সপ্তাহের বেশি বাঁচতে পারে না।
* একটি আনারস পূর্ণাঙ্গ হতে সময় লাগে দুই বছর।
* কিছু পিঁপড়ে বোমার মতো নিজেদের বিস্ফোরিত করতে পারে।
* আয়না দেখে নিজেদের চিনতে পারে শিম্পাঞ্জি ও ডলফিন।
* আপনার দাদুর বয়স কি সত্তর? তাহলে তিনি এ পর্যন্ত ৯ হাজার গ্যালন পানি পান করেছেন।
* মানুষের চোখ প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ৮০ বার নড়ে।
* বলুন তো? জেব্রার গায়ের রঙ কী? সাদা নাকি কালো? আসলে জেব্রার গায়ের রঙ কালো। এর লোমের উপরেই ছোপ ছোপ দাগ।
* ঈল মাছ পিছন দিকে সাঁতার কাটতে পারে।
* প্রাণীদের মধ্যে বিড়ালই সবচেয়ে বেশি ঘুমায় (দৈনিক ১৮ঘন্টা)।
* একমাত্র স্ত্রী মশাই মানুষের রক্ত খায়।
* মাছি মিনিটে ৮ কিলোমিটার উড়তে পারে।
* পুরুষ ব্যাঙই বর্ষকালে ডাকে, আর তা শুনে কাছে আসে স্ত্রী ব্যাঙ।
* হামিং বার্ড পাখি পিছনের দিকে উড়তে পারে।
* গিরগিটি একই সময়ে তার চোখ দুটি দুই দিকেই নাড়তে পারে।
* টিকটিকি এক সঙ্গে ৩০টি ডিম পাড়ে।
* মাছ চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।
* একমাএ পিঁপড়েই কোনদিন ঘুমায়না।
* কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে ২৮,০০০ গুণ বেশি।
সূত্র : ইন্টারনেট।